Header Ads

Header ADS

৮ম শ্রেণি । বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় । অধ্যায়-১ম । পার্ট-১


ঔপনিবেশিক যুগ কাকে বলে ? ব্যাখ্যা কর। 

বাংলায় ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজ শাসনামলকে ঔপনিবেশিক যুগ বলে। 
বাংলায় ইউরোপীয় বনিকদের আগমন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে হলেও ১৭৫৭ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে এক সময় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেয়। ইংরেজদের শাসন চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। আর এই সময়কালকেই ঔপনিবেশিক যুগ বলা হয়। 

ঔপনিবেশিক শাসন কাকে বলে ? ব্যাখ্যা কর। 

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক যুগে বাংলায় যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তাকেই ঔপনিবেশিক শাসন বলে। 
বাংলায় ইউরোপীয় বনিকদের আগমন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে হলেও ১৭৫৭ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা-বিহার ও উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে এক সময় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেয়। ইংরেজদের শাসন চলে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। এভাবে ১৭৫৭ সালের পর বাংলায় যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সাধারণত তাকেই ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।

ঔপনিবেশিক শাসনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ। 

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক যুগে বাংলায় যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তাকেই ঔপনিবেশিক শাসন বলে।

বৈশিষ্ট্যঃ 

  • দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসেনা।
  • দখলদার শক্তি যতদিন শাসক হিসাবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজদেশে পাচার করবে।
  • তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে নিজ দেশে ফিরে যাবে।
  • কোন কারণে অন্যের দেশ শাসন করা লাভজনক মনে না হলেও নিজ দেশে ফিরে যাবে। 


মাৎস্যন্যায় যুগ বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 

রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় ১০০ বছর ধরে চলতে থাকা অরাজকতাকে মাৎস্যন্যায় যুগ বলে। 
সপ্তম শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি শাসক শশাঙ্ক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে শশাঙ্কের রাজত্ব দীর্ঘস্তায়ী ছিল না। তার মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে। যাকে সংস্কৃত ভাষায় মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়।

ইকলিম কী?

ইকলিম ফারসি শব্দ, যার অর্থ প্রদেশ বা বিভাগ । ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলাজুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রদেশ বা বিভাগগুলোকে ফারসি ভাষার ‘ইকলিম’ বলা হয়। এই ইকলিমগুলো উত্তর বাংলায় লখনৌতি, পশ্চিম বাংলায় সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় সোনারগাঁও নামে পরিচিত ছিল।

৩টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.