সপ্তম শ্রেণি । বিজ্ঞান । প্রথম অধ্যায় । ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব।
বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন
হুক সর্ব প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার,
দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি নানা ধরণের হতে পারে।
দেহের আকার আকৃতির ভিত্তিতে একে নিম্নরুপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় :
ক. কক্কাস : কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া কোষের আকৃতি গোলাকার। এরা
কক্কাস ব্যাকটেরিয়া। এরা এককভাবে অথবা দলবেঁধে থাকতে পারে, যেমন নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।
খ. ব্যাসিলাস : এরা দেখতে লম্বা দণ্ডের ন্যায়
। ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ এরা সৃষ্টি করে।
গ. কমা : এরা বাঁকা দণ্ডের ন্যায়
আকৃতির ব্যাকটেরিয়া। মানুষের কলেরা রোগের ব্যাকটেরিয়া এ ধরনের।
ঘ. স্পাইরিলাম
: এ ধরণের
ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি প্যাঁচানো।
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগগুলো কী কী ?
- নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হলো কক্কাস।
- ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হলো ব্যাসিলাস।
- মানুষের কলেরা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হলো কমা ।
- টাইফয়েড জ্বর সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া হলো স্যালমোনেলা টাইফি।
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা :
- মৃত জীবদেহ ও আর্বজনা পঁচাতে সাহায্য করে।
- একমাত্র ব্যাকটেরিয়াই প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।
- পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে।
- দই তৈরি করতেও ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য নিতে হয়।
- বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
- ব্যাকটেরিয়া জীন প্রকৌশলের মূল ভিত্তি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবের কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য পাওয়ার জন্য জীনগত পরিবর্তনের কাজে ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা হয়।
ব্যাকটেরিয়াকে প্রোক্যারিওটা বা
আদিকোষী বলা হয় কেন ?
যে
সব অণুজীবের কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয় তাদেরকে প্রোক্যারিওটা
বা আদিকোষী বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষে
নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা সুগঠিত না থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে প্রোক্যারিওটা বা আদিকোষী
বলা হয়।
ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব। বিজ্ঞানী
অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্ব প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি
নানা ধরণের হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই